আজ ৬ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ঠিক সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ, কলকাতা আর এন মুখার্জী রোডের সংযোগস্থলে, একটি মোটর পার্টস এর গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে, অফিস পাড়ায় এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটায় এলাকায় আতঙ্ক। লালবাজার থেকে ডিল ছাড়া দূরত্বে এই অফিস গোডাউন। তবে কিভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটলো জানা যায়নি, এলাকার মানুষেরা আগুন ও ধোঁয়া দেখতে পেয়ে সাথে সাথে দমকল ও থানায় খবর দেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই হেয়ার স্ট্রিট থানার অফিসারেরা এবং দমকলের অফিসারেরা খবর পেয়ে দমকলের গাড়ী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ততক্ষণে গোডাউনের চতুর্দিক থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
তৎক্ষণাৎ অপেক্ষা না করে সাথে সাথে আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন, আগুনে তীব্রতা দেখে দমকলে অফিসারেরা খবর দিলে ,একের পর এক দমকল গাড়ী এসে উপস্থিত হয় ঘটনা স্থলে, হোর্স পাইপ দিয়ে তীব্র গতিতে জল দিতে থাকেন আগুনে,তাতেও কোনভাবে আগুন আয়ত্তে না আসায়, কাটার দিয়ে জানলার রড কেটে হুড পাইপ ভেতরে ঢুকে তীব্রভাবে জল দিতে থাকেন, বিল্ডিংটি ছিল তিন তলার, আগুন লাগে একতলার অর্থাৎ গ্রাউন্ড ফ্লোরে এবং যে গোডাউনে আগুন লেগেছে, সেই বিল্ডিংটি বহু পুরনো। প্রায় সাড়ে চার পাঁচ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসলেও, ভেতরে আগুন কিছুটা রয়ে যায়, এবং কালো ধোঁয়ায় সারা এলাকা ভরে যায়,
তবে দমকল অফিসার সূত্রে জানা যায়, যেহেতু এটি পার্টস এর গোডাউন ছিল, বিভিন্ন প্লাস্টিক ও অন্যান্য বস্তু থাকাই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তবে কিভাবে আগুন লেগেছে বলা সম্ভব নয়, ফরেনসিক রিপোর্টে জানা যাবে, আগুন গোডাউনে ছড়িয়ে পড়লেও, উপরের বিল্ডিং গুলিতে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি, যেই গোডাউন টিতে আগুন লেগেছে ,তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় বলে জানালেন, অগ্নিকাণ্ডে কারো ক্ষতি হয়নি, গোডাউন ঘরের অফিসের সমস্ত দরকারি নথিপত্র পুড়ে ছায় হয়ে গিয়েছে,
সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত দমকলের প্রচেষ্টায় আগুন আস্তে আস্তে আয়ত্বে আনলেও, সম্পূর্ণ নেবানো যায়নি, তবে দমকলের অফিসাররা জানিয়েছেন আর কোন ভয় এর কারণ নেই, এইরকম একটি জায়গায় দিনের বেলা ঘটনা ঘটায় , আমাদের আগুন নেভানোর কাজ করতে অনেকটা সুবিধা হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের যোগান দেওয়া গেছে। আমাদের লোকেরা ভেতরে ঢুকতে পেরেছে।
অফিস পাড়ার মতো জায়গায় অগ্নিকাণ্ড ঘটায়, অফিস আশা লোকজন ও নিত্যযাত্রীরা দাঁড়িয়ে পড়ছেন দেখার জন্য, এবং যাতে কোন রকম যানজটের সৃষ্টি না হয়, প্রশাসনের তরফ থেকে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বারবার। যান চলা চল ছিল স্বাভাবিক। তবে এলাকার কাউন্সিলর বা কোন মন্ত্রী ও বিধায়ক কে আসতে দেখা যায়নি ঘটনাস্থলে।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস ,কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ
সম্পাদক: মিলন খান মোবাইল +৮৮০১৮৩০-৩০৩১৩১ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: আব্দুল জব্বার মোবাইল +৮৮০১৭২২-৩৬৩৪০৪বার্তা সম্পাদক: রাকিব ফেরদৌস মোবাইল +৮৮০১৮৬১-৬৫৮৮৭৫
বানিজ্যিক কার্যালয়: রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও, বাংলাদেশ।