জাকির হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার টাঙ্গন নদী থেকে দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সরকারি ২টি বড় ব্রীজের পাশ থেকে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় সরকারি ২টি ব্রীজ হুমকির মুখে রয়েছে।
বালু ইজারাদার শর্ত ভঙ্গ করে এলাকার কিছু খারাপ প্রকৃতির লোকজন ভাড়া করে প্রতিনিয়ত ও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে নদী নষ্ট করা, পরিবেশ বিপন্ন করা সহ জীব বৈচিত্র কে হুমকির মুখে ফেলেছে।
জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার ২নং কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নে টাঙ্গন নদীতে ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ও ৩০ শে চৈত্র পর্যন্ত ১ বছর মেয়াদে ১০.৮১ একর জমির বালু উত্তোলনের জন্যে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক নওগাঁ জেলার শিমলা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী আলহাজ সিরাজুল ইসলাম ইজারা প্রদান করেন। ইজারা গ্রহণের পর থেকেই সিরাজুল ইসলাম তার ইজারা কৃত স্থানে বালু উত্তোলন না করে অবৈধ ভাবে নাকাটি হাট এলাকার নাকাটি সরকারি ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে বলে সরেজমিন খোজ নিয়ে জানা গেছে।
এছাড়া ওই বালু ইজারাদার বে-আইনী ভাবে ৬নং ইউনিয়নের মশালডাঙ্গী ব্রীজ এর উত্তর পাশ থেকে নিয়মিত বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে, লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে তাদেরকে সায়েস্তা করার জন্যে প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন।
অপরিকল্পিত ভাবে ব্রীজ ২টির নিচ থেকে বালু উত্তোলন করায় প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি ব্রীজ ২টি যে কোন সময় ধসে যেতে পারে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
এছাড়া ইজারাদার সিরাজুল ইসলাম তার ইজারা কৃত ১০.৮১ একর জমির সীমানা চৌহদ্দি নির্ণয় না করে তিনি সমস্ত টাঙ্গন নদী ইজারা নিয়েছেন বলে এলাকায় অপপ্রচার করেন।
এছাড়া তিনি ও তার লোকজন ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের কাস্তোর মৌজায়, ১০নং জাবরহাট ইউনিয়নের গেঞ্জি ডুবা ঘাট ও ১১নং বৈরচুনা, ৩ নং খনগাঁও ইউনিয়নের হাবিবপুর নামক জায়গায় টাঙ্গন নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বৈধ মেমো দিয়ে বীর দর্পে বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের ভূমিকা সন্তোষজনক নয় বলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ইশরাত ফারজানা বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপর দিকে বালু ইজারাদার সিরাজুল ইসলাম জানায়, আমার বালু ইজারাকৃত স্থানে কিছু সমস্যার কারনে নাকাটি ব্রীজের দেড় থেকে দু’শ মিটার উত্তরে বালু উত্তোলন করছি। তিনি আরো জানায়, উপজেলার ৩, ৬, ৮, ১০ ও ১১নং ইউনিয়নে টাঙ্গন নদী থেকে বালু বিক্রয় করার জন্যে কিছু লোককে মেমো বই দিয়েছি। বিষয়টি এলাকার সুশীল সমাজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সম্পাদক: মিলন খান মোবাইল +৮৮০১৮৩০-৩০৩১৩১ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: আব্দুল জব্বার মোবাইল +৮৮০১৭২২-৩৬৩৪০৪ বার্তা সম্পাদক: রাকিব ফেরদৌস মোবাইল +৮৮০১৮৬১-৬৫৮৮৭৫
বানিজ্যিক কার্যালয়: রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও, বাংলাদেশ।