আসরাফ উদ্দিন হিল্লোল  মধ্যনগর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

বর্তমান সমাজে বেকারত্ব কমানো এবং নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে মাহবুব হাসান ইলিয়াস প্রতিষ্ঠা করেছেন নিউ-রাইজ সাসটেইন ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়াম(এনএসডিসি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যা ইতোমধ্যে আরজেএসসি (RJSC) থেকে সনদপ্রাপ্ত ও সরকার অনুমোদিত একটি কোম্পানি।

এই প্রতিষ্ঠান মূলত এমন মানুষদের জন্য কাজ করছে, যারা সীমিত আয়ের কারণে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য সহজে সংগ্রহ করতে পারেন না। প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল, ফার্নিচারসহ নানা গৃহস্থালি ও প্রযুক্তিপণ্য সহজ কিস্তির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে, যাতে অর্থনৈতিক চাপ ছাড়াই তারা আধুনিক জীবনের সুবিধা ভোগ করতে পারেন।

শুধু ব্যবসা নয়, মানবকল্যাণই এই উদ্যোগের আসল লক্ষ্য। নিউ-রাইজ সাসটেইন ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়াম সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে পরিচালনা করছে “আলোর মঞ্চ” নামের একটি বিদ্যালয়, যেখানে ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা মূল্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয়।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, অসহায় মানুষের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, এবং বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা স্থানীয়ভাবে প্রশংসা অর্জন করেছে।

মাহবুব হাসান ইলিয়াস বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু ব্যবসা নয়, বরং মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন। আমি চাই, সমাজের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ যেন সম্মানের সঙ্গে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারে, আর সেই সুযোগটাই আমরা তৈরি করছি। এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এরিয়া ম্যানেজার সাজিদুর রহমান বলেন হাওর অঞ্চল সহ মোট (৮) আট টি শাখা

ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় কার্যক্রম শুরু করেছে এবং স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে তরুণদের স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছে। ৮ টি শাখা নেত্রকোনা জেলার, দূর্গাপুর,কলমাকান্দা, সিদলি,মোহনগঞ্জ, বারহাট্ট্রা, সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর,মহিষখল,গাছতলা, ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই হাজার(২৫০০) নিম্ন আয়ের মানুষ এই প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণ করছে।

উদ্যোক্তা মাহবুব হাসান ইলিয়াস বিশ্বাস করেন তরুণদের উদ্যোগই পারে দেশের অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তি দিতে। তাঁর ভাষায়, আমরা যদি নিজেরা উদ্যোগ না নিই, তবে পরিবর্তন আসবে না।

সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানবিক মূল্যবোধ ও উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা নিউ-রাইজ সাসটেইন ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়াম আজ দেশের একটি সম্ভাবনাময় উদ্যোগ হিসেবে এগিয়ে চলেছে। এটি কেবল একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয় বরং একটি সামাজিক আন্দোলন, যা টেকসই উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে নিবেদিত।