১১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

**মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড” রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড,সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ**

  • আপডেট: ১১:১৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০৯

মোঃ রেজাউল করিম

 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

মানবতাবিরোধী অপরাধ ‘বিয়ন্ড রিজনেবল ডাউট’ বা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। রায়ে তাদের সব ধরনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে ভিকটিম ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইবুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. ___ (মোঃ গোলাম মুর্তজা মজুদার) নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।

রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি মামুনের ৫ বছর জেল

মামলার অন্যতম আসামি, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাষ্ট্রপক্ষের রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য দেন। তার সহযোগিতা বিবেচনায় আদালত তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ে বলা হয়—‘রাষ্ট্রের পক্ষে সত্য উদ্ঘাটনে সহায়তার ফলে তার শাস্তি লঘু করা হয়েছে।’

অভিযোগ ও আদালতের পর্যবেক্ষণ

রায়ে ট্রাইবুনাল জানায়—

দেশব্যাপী আন্দোলন দমনে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, নির্যাতন, অপহরণ ও হত্যার ঘটনাগুলোতে শেখ হাসিনা ও কামাল সরাসরি নির্দেশদাতা এবং সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সাক্ষ্য-প্রমাণে ‘সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত’ হয়েছে।

সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ক্ষতিপূরণ-

ট্রাইবুনাল নির্দেশনা দেয়—

শেখ হাসিনা ও কামালের সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মূল্য ভিকটিমদের মধ্যে ক্ষতিপূরণ হিসেবে বণ্টন করতে হবে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা।

রায় ঘোষণার সময় নিরাপত্তা জোরদার-রায়কে কেন্দ্র করে আদালতপাড়াসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও আর্মির সদস্যরাও অবস্থান নেয়।

প্রতিক্রিয়া-রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ এটিকে ‘ন্যায়বিচারের বিজয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। অন্যদিকে হাসিনা ও কামালের আইনজীবীরা বলেছেন—এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

**মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড” রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড,সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ**

আপডেট: ১১:১৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

মোঃ রেজাউল করিম

 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

মানবতাবিরোধী অপরাধ ‘বিয়ন্ড রিজনেবল ডাউট’ বা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। রায়ে তাদের সব ধরনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে ভিকটিম ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইবুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. ___ (মোঃ গোলাম মুর্তজা মজুদার) নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।

রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি মামুনের ৫ বছর জেল

মামলার অন্যতম আসামি, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাষ্ট্রপক্ষের রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য দেন। তার সহযোগিতা বিবেচনায় আদালত তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ে বলা হয়—‘রাষ্ট্রের পক্ষে সত্য উদ্ঘাটনে সহায়তার ফলে তার শাস্তি লঘু করা হয়েছে।’

অভিযোগ ও আদালতের পর্যবেক্ষণ

রায়ে ট্রাইবুনাল জানায়—

দেশব্যাপী আন্দোলন দমনে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, নির্যাতন, অপহরণ ও হত্যার ঘটনাগুলোতে শেখ হাসিনা ও কামাল সরাসরি নির্দেশদাতা এবং সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সাক্ষ্য-প্রমাণে ‘সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত’ হয়েছে।

সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ক্ষতিপূরণ-

ট্রাইবুনাল নির্দেশনা দেয়—

শেখ হাসিনা ও কামালের সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মূল্য ভিকটিমদের মধ্যে ক্ষতিপূরণ হিসেবে বণ্টন করতে হবে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা।

রায় ঘোষণার সময় নিরাপত্তা জোরদার-রায়কে কেন্দ্র করে আদালতপাড়াসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও আর্মির সদস্যরাও অবস্থান নেয়।

প্রতিক্রিয়া-রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ এটিকে ‘ন্যায়বিচারের বিজয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। অন্যদিকে হাসিনা ও কামালের আইনজীবীরা বলেছেন—এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন।