০৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

বাউফলে গাছের ডাল কাটা কে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের ঝগড়া-থানায় অভিযোগ

  • আপডেট: ০২:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০২৬

বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী বাউফলের কেশবপুর ইউপির উত্তর মোমিনপুরে জমির সীমানার একটি কাউফলা গাছকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি’র ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, গত ১০ মে ২০২৫ইং তারিখ বড় ভাই আবুল কালাম আবু ও ছোট ভাই মাহবুব হাওলাদারের মধ্যে গাছ কাটাকে নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার পর উক্ত বিষয় নিয়ে মাহবুবের স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫) বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সালমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের বাড়িতে শান্তি নেই। আবু বাড়িতে যা কিছু আছে সব ভোগ করে, ভাগের জায়গা বুঝিয়ে দেয় নি। থানায় অভিযোগ দিলে এএস আই শাহীন তদন্ত করেন।পরে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ আখতারুজ্জামান সরকার একটা মামলা নেয়। তার পর এসআই শহিদুল ইসলাম তদন্তের দায়িত্ব পায়। এরপর এস আই শহিদুল ইসলাম তিন ধাপে আমার কাছে টাকা দাবি করে ছিলেন। আমি কিছু দিয়েছি, কিন্তু মোট কত টাকা দিয়েছি তা মনে নেই। সালমা বেগমের কাছে এস আই শহিদুল ইসলাম কে টাকা দেয়ার বিষয় সাংবাদিকরা প্রমাণ চাইলে, সালাম বেগম সাংবাদিকদের বলেন, কোন প্রমাণ নেই। এ মামলার বাদীর শশুর জয়নাল হাওলাদার (৭০) সাংবাদিকদের বলেন, “আমার ছোট ছেলে মাহবুব তাঁর মেয়ের মৃত্যুতে কবরস্থান থেকে বড় ছেলে আবুল কালাম আবু’র একটি কাউফলার ডাল কেটে আনে। মাহবুব সেই ডাল নিয়ে কোদাল দিয়ে মারতে যায়। আমি তখন মাঝখানে গিয়ে দুই ভাইকে থামাই। একপর্যায়ে আবুল কালাম আবু ছোট ছেলের ঠোঁটে ঘুসি মারেন। সামান্য বিষয় নিয়ে আমার ছোট ছেলের বউ থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ আমাদের কাছে কোনো টাকা পয়সা দাবি করেনি।” উক্ত দুই ভাইয়ের মা রিজিয়া বেগম(৬৫) সাংবাদিকদের জানান, “আমরা চাই না কোনো ছেলে জেলে থাকুক। স্থানীয়ভাবে সমাধান করে দুই ছেলেকে মিলিয়ে দিব। পুলিশ এসেও আমাদেরকে সুন্দরভাবে আশ্বাস দিয়েছে, কোনো হুমকি বা ঘুষ দাবি করা হয়নি।”
বাউফল থানার এসআই শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “সালমা বেগমের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে যা পেয়েছি তা রিপোর্টে উল্লেখ করেছি। আমাকে আবুল কালাম আবুকে গ্রেফতার করতে বলে ও ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় রিপোর্ট দিতে বলে । মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী এম সি তে ৩২৩ ধারা আসে। আমি সালমা বেগম এর ভাই খোকন কে বলি আইনের বাহিরে আমি কোন কাজ করতে পারবো না আমি তদন্তে সাক্ষ্য প্রমাণে যা পেয়েছি তাই সঠিকভাবে রিপোর্ট করেছি। একথা শুনে সালমা বেগম আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয় মিথ্যা ঘুষের অভিযোগ দেয় ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

বাউফলে গাছের ডাল কাটা কে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের ঝগড়া-থানায় অভিযোগ

আপডেট: ০২:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী বাউফলের কেশবপুর ইউপির উত্তর মোমিনপুরে জমির সীমানার একটি কাউফলা গাছকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি’র ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, গত ১০ মে ২০২৫ইং তারিখ বড় ভাই আবুল কালাম আবু ও ছোট ভাই মাহবুব হাওলাদারের মধ্যে গাছ কাটাকে নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার পর উক্ত বিষয় নিয়ে মাহবুবের স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫) বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সালমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের বাড়িতে শান্তি নেই। আবু বাড়িতে যা কিছু আছে সব ভোগ করে, ভাগের জায়গা বুঝিয়ে দেয় নি। থানায় অভিযোগ দিলে এএস আই শাহীন তদন্ত করেন।পরে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ আখতারুজ্জামান সরকার একটা মামলা নেয়। তার পর এসআই শহিদুল ইসলাম তদন্তের দায়িত্ব পায়। এরপর এস আই শহিদুল ইসলাম তিন ধাপে আমার কাছে টাকা দাবি করে ছিলেন। আমি কিছু দিয়েছি, কিন্তু মোট কত টাকা দিয়েছি তা মনে নেই। সালমা বেগমের কাছে এস আই শহিদুল ইসলাম কে টাকা দেয়ার বিষয় সাংবাদিকরা প্রমাণ চাইলে, সালাম বেগম সাংবাদিকদের বলেন, কোন প্রমাণ নেই। এ মামলার বাদীর শশুর জয়নাল হাওলাদার (৭০) সাংবাদিকদের বলেন, “আমার ছোট ছেলে মাহবুব তাঁর মেয়ের মৃত্যুতে কবরস্থান থেকে বড় ছেলে আবুল কালাম আবু’র একটি কাউফলার ডাল কেটে আনে। মাহবুব সেই ডাল নিয়ে কোদাল দিয়ে মারতে যায়। আমি তখন মাঝখানে গিয়ে দুই ভাইকে থামাই। একপর্যায়ে আবুল কালাম আবু ছোট ছেলের ঠোঁটে ঘুসি মারেন। সামান্য বিষয় নিয়ে আমার ছোট ছেলের বউ থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ আমাদের কাছে কোনো টাকা পয়সা দাবি করেনি।” উক্ত দুই ভাইয়ের মা রিজিয়া বেগম(৬৫) সাংবাদিকদের জানান, “আমরা চাই না কোনো ছেলে জেলে থাকুক। স্থানীয়ভাবে সমাধান করে দুই ছেলেকে মিলিয়ে দিব। পুলিশ এসেও আমাদেরকে সুন্দরভাবে আশ্বাস দিয়েছে, কোনো হুমকি বা ঘুষ দাবি করা হয়নি।”
বাউফল থানার এসআই শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “সালমা বেগমের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে যা পেয়েছি তা রিপোর্টে উল্লেখ করেছি। আমাকে আবুল কালাম আবুকে গ্রেফতার করতে বলে ও ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় রিপোর্ট দিতে বলে । মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী এম সি তে ৩২৩ ধারা আসে। আমি সালমা বেগম এর ভাই খোকন কে বলি আইনের বাহিরে আমি কোন কাজ করতে পারবো না আমি তদন্তে সাক্ষ্য প্রমাণে যা পেয়েছি তাই সঠিকভাবে রিপোর্ট করেছি। একথা শুনে সালমা বেগম আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয় মিথ্যা ঘুষের অভিযোগ দেয় ।