০৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

হরিপুরে ফেরোম্যান ইন্ডাস্ট্রিজের বায়োলিডের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত 

  • আপডেট: ০৬:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০০

জয়নুল আবেদীন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :

ঠাকুরগাঁও হরিপুরে ধান উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তি। রাসায়নিকের পরিবর্তে ‘বায়োলিড’ নামের জৈব অণুজীব সার ব্যবহার করে কৃষকরা এখন পাচ্ছেন বিষমুক্ত, সুস্থ ও অধিক ফলনশীল ধান।

 

রবিবার (৯ নভেম্বর) বিকাল ৪ ঘটিকায় হরিপুর উপজেলার চৌরঙ্গী বাজার পাড়ার গাঁও গ্রামে ফেরোমন ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড ও মেসার্স মা-বাবার দোয়া ট্রেডার্সের যৌথ সহযোগীতায় ‘বায়োলিড কৃষক মাঠ দিবস ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক কৃষক অংশ নেন।

 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফেরোমন ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর রানীশংকৈল মার্কেটিং অফিসার মোঃ রাজিউন রহমান রাজু।

 

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেরোমন ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর সেলস অ্যান্ড পরিচালক কে এম মনোয়ার হোসেন হিমেল, অত্র এরিয়ার আর এস এম মো শাহিন আক্তার ও হরিপুর কৃষি অফিসের উপ-সহকারী মোঃ মোবাশ্বের রহমান। এছাড়াও স্থানীয় ডিলার, মোঃ দবিরুল ইসলাম খুচরা বিক্রেতা ও কৃষক প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন।

 

প্রধান আলোচক কে এম মনোয়ার হোসেন হিমেল বলেন, বাংলাদেশের কৃষি এখন পরিবর্তনের পথে। দীর্ঘদিন ধরে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারে মাটির জৈব গুণ নষ্ট হচ্ছে। এই বাস্তবতায় বায়োলিড কৃষকদের জন্য একটি টেকসই সমাধান। এটি ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি সমৃদ্ধ জৈব অণুজীব সার ও ছত্রাকনাশক, যা মাটির উপকারী জীবাণু বাড়িয়ে জমির উর্বরতা ধরে রাখে, রোগজীবাণু দমন করে এবং ফসলকে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধী করে তোলে।

 

তিনি আরও বলেন, রাসায়নিকের বিকল্প হিসেবে বায়োলিড শুধু ধানের ফলন বাড়ায় না, বরং জমির মাটিকেও পুনর্জীবিত করে। এর মাধ্যমে আমরা একদিকে পরিবেশ রক্ষা করছি, অন্যদিকে কৃষক পাচ্ছেন নিরাপদ খাদ্য ও বাড়তি আয়।

 

অনুষ্ঠান শেষে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের নিয়ে বায়োলিড প্রয়োগ করা জমির ফলন পর্যালোচনা করা হয়। কৃষকরা জানায়, যেখানে আগে রাসায়নিক ব্যবহার করা হতো সেখানে ধানের গোড়া দুর্বল ও রোগবালাই বেশি দেখা যেত। কিন্তু বায়োলিড ব্যবহারের পর গাছ সবল হয়েছে, ফলনও বেড়েছে প্রতি বিঘায় ৩ থেকে ৪ মণ পর্যন্ত।

 

হরিপুরের কৃষক মোঃ আতাউর রহমান বলেন, আমি প্রথমবারের মতো আমার ৩ বিঘা জমিতে বায়োলিড ব্যবহার করেছি। গাছের রঙ, পাতার সবলতা আর ধানের শীষ দেখে আমি অবাক হয়েছি। এমন ফসল আগে কখনো পাইনি। আমি এবার আরও জমিতে বায়োলিড ব্যবহার করব।

 

অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত কৃষকরা বায়োলিডের গুণাগুণে সন্তুষ্ট হয়ে পণ্যটি কিনে নেন এবং ভবিষ্যতে এই জৈব সার ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেন।

 

ফেরোমন ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর কর্মকর্তারা জানান, দেশের প্রতিটি জেলায় বায়োলিডের মাধ্যমে জৈব কৃষি বিস্তারে তারা কাজ করছেন, যাতে কৃষকরা লাভবান হন এবং দেশ এগিয়ে যায় টেকসই কৃষি উৎপাদনের পথে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

হরিপুরে ফেরোম্যান ইন্ডাস্ট্রিজের বায়োলিডের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত 

আপডেট: ০৬:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

জয়নুল আবেদীন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :

ঠাকুরগাঁও হরিপুরে ধান উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তি। রাসায়নিকের পরিবর্তে ‘বায়োলিড’ নামের জৈব অণুজীব সার ব্যবহার করে কৃষকরা এখন পাচ্ছেন বিষমুক্ত, সুস্থ ও অধিক ফলনশীল ধান।

 

রবিবার (৯ নভেম্বর) বিকাল ৪ ঘটিকায় হরিপুর উপজেলার চৌরঙ্গী বাজার পাড়ার গাঁও গ্রামে ফেরোমন ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড ও মেসার্স মা-বাবার দোয়া ট্রেডার্সের যৌথ সহযোগীতায় ‘বায়োলিড কৃষক মাঠ দিবস ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক কৃষক অংশ নেন।

 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফেরোমন ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর রানীশংকৈল মার্কেটিং অফিসার মোঃ রাজিউন রহমান রাজু।

 

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেরোমন ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর সেলস অ্যান্ড পরিচালক কে এম মনোয়ার হোসেন হিমেল, অত্র এরিয়ার আর এস এম মো শাহিন আক্তার ও হরিপুর কৃষি অফিসের উপ-সহকারী মোঃ মোবাশ্বের রহমান। এছাড়াও স্থানীয় ডিলার, মোঃ দবিরুল ইসলাম খুচরা বিক্রেতা ও কৃষক প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন।

 

প্রধান আলোচক কে এম মনোয়ার হোসেন হিমেল বলেন, বাংলাদেশের কৃষি এখন পরিবর্তনের পথে। দীর্ঘদিন ধরে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারে মাটির জৈব গুণ নষ্ট হচ্ছে। এই বাস্তবতায় বায়োলিড কৃষকদের জন্য একটি টেকসই সমাধান। এটি ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি সমৃদ্ধ জৈব অণুজীব সার ও ছত্রাকনাশক, যা মাটির উপকারী জীবাণু বাড়িয়ে জমির উর্বরতা ধরে রাখে, রোগজীবাণু দমন করে এবং ফসলকে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধী করে তোলে।

 

তিনি আরও বলেন, রাসায়নিকের বিকল্প হিসেবে বায়োলিড শুধু ধানের ফলন বাড়ায় না, বরং জমির মাটিকেও পুনর্জীবিত করে। এর মাধ্যমে আমরা একদিকে পরিবেশ রক্ষা করছি, অন্যদিকে কৃষক পাচ্ছেন নিরাপদ খাদ্য ও বাড়তি আয়।

 

অনুষ্ঠান শেষে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের নিয়ে বায়োলিড প্রয়োগ করা জমির ফলন পর্যালোচনা করা হয়। কৃষকরা জানায়, যেখানে আগে রাসায়নিক ব্যবহার করা হতো সেখানে ধানের গোড়া দুর্বল ও রোগবালাই বেশি দেখা যেত। কিন্তু বায়োলিড ব্যবহারের পর গাছ সবল হয়েছে, ফলনও বেড়েছে প্রতি বিঘায় ৩ থেকে ৪ মণ পর্যন্ত।

 

হরিপুরের কৃষক মোঃ আতাউর রহমান বলেন, আমি প্রথমবারের মতো আমার ৩ বিঘা জমিতে বায়োলিড ব্যবহার করেছি। গাছের রঙ, পাতার সবলতা আর ধানের শীষ দেখে আমি অবাক হয়েছি। এমন ফসল আগে কখনো পাইনি। আমি এবার আরও জমিতে বায়োলিড ব্যবহার করব।

 

অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত কৃষকরা বায়োলিডের গুণাগুণে সন্তুষ্ট হয়ে পণ্যটি কিনে নেন এবং ভবিষ্যতে এই জৈব সার ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেন।

 

ফেরোমন ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর কর্মকর্তারা জানান, দেশের প্রতিটি জেলায় বায়োলিডের মাধ্যমে জৈব কৃষি বিস্তারে তারা কাজ করছেন, যাতে কৃষকরা লাভবান হন এবং দেশ এগিয়ে যায় টেকসই কৃষি উৎপাদনের পথে।